রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

নার্স দ্বারা ডেলিভারী করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু!

হাসান মাহমুদ, গৌরনদী

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে কথিত নার্স দ্বারা নরমাল ডেলিভারী করানোর সময় নবজাতকের মুত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে ভীড় করে দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করলে অভিযুক্ত কথিত নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তার পালিয়ে গেছে। এসময় বিক্ষুব্ধদের হামলায় হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার মনির হোসেন শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রসূতির স্বামী গৌরনদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সবুজ মোল্লা বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার স্ত্রী সাবিহা বেগমের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে রাত তিনটার দিকে কথিত নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তারকে দিয়ে জোড়পূর্বক নরমাল ডেলিভারীর চেষ্টা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টার পর একটি নবাজাতক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তবে নবজাতকের কোন কান্নাকাটির শব্দ না পাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ভাবে বাচ্চাকে নিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেন। শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে সুইজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জীব মজুমদার (ডিএমএফ) বলেন, ভর্তির সময় পরিক্ষা নিরিক্ষায় প্রসূতী ও গর্ভের সন্তান সুস্থ ছিলো। তবে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবিষয়ে সুইজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুপা খাতুন বলেন, নবজাতকের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। তাছাড়া নবজাতকের মৃত্যু আমাদের হাসপাতালে হয়নি। উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ভূক্তভোগী স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ