বরিশালের মুলাদীতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৭ রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিন ও বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকার আড়িয়ালখাঁ নদ থেকে ট্রলারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি খননযন্ত্র (ভেকু) ও পল্টুন জব্দ করেছে নাজিরপুর নৌ-পুলিশ।
নাজিরপুর নৌ-পুলিশ জানায়, পল্টুনে ভেকু নিয়ে দুটি ট্রলারে অস্ত্রসহ ২০-২২জন ডাকাত কালকিনি থেকে বাবুগঞ্জে যাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় একটি ট্রলারে বেশ কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে গেলেও ট্রলার ও অস্ত্রসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের কাণ্ডপাশা গ্রামের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (৪২), আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ ব্যাপারীর ছেলে সায়েম ব্যাপারী (২২), বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৯নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর এলাকার মৃত আজাহার মুন্সীর ছেলে মহিউদ্দীন (৩৮) এবং ১০নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে নৌ-পুলিশ আরও জানায়, গত ৮মার্চ বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পল্টুন ও ভেকু নেয় ডাকাতেরা। পরে ওই ভেকু ও পল্টুন কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়নের জনৈক নূর মোহাম্মাদ মোল্লার ইটভাটায় রাখা হয়। রোববার দিবাগত রাতে পল্টুন ও ভেকু বাবুগঞ্জ উপজেলার চরভুতেরদিয়া গ্রামের মৃত কাদের প্যাদার ছেলে ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি সহিদ প্যাদার আস্তানায় নেওয়া হচ্ছিলো। ওই দলটির মুলাদী উপজেলায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল কিনা এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগজিন, ৩৭ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু রামদা, চাপাতি, ড্যাগারসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই দলের সহযোগী ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করবে।