অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। অবৈধ দখলদার এবং সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের আহ্বায়ক মনীষা চক্রবর্তী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের ত্রিমুখী বাধায় এই বিপাকে পরতে হয় কর্পোরেশনকে। এ ঘটনায় অবৈধ উচ্ছেদ বাধাগ্রস্থ হলেও প্রশাসনিক কোন সহায়তা পায়নি বিসিসি। তবে ঘটনাস্থলে ক্যাপ্টেন তৌহিদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী একটি টিম অবস্থান করতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মহাসড়কে যাতে কোন যান চলাচলের বাধার সৃষ্টি না হয় তাদেরকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এর বাইরে উচ্ছেদ বিষয়ে তাদের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে সব শেষ বিভাগীয় কমিশনার ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের নির্দেশে দখলমুক্ত করতে অবৈধ দখলদারদের এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে জানিয়েছে বলে জানিয়েছে উচ্ছেদ শাখার প্রধান।
জানা গেছে, বরিশাল নগরীর সিএনবি রোডে পরিত্যাক্ত শাহানারা পার্ক সংলগ্ন চৌমাথা কাজীপাড়া এলাকায় পাবলিক হেলথ এর অফিসের সামনে সীমানা প্রাচীর বরাবর প্রায় ১৫ টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদে যায় বিসিসি। কিন্তু ওই দোকান পাবলিক হেল্থের জমির উপরে দাবি করে অবৈধ দখলদাররা তাদের পুনর্বাসনের দাবি তোলে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের বুল ডেজার মেশিনের সামনে সড়কে বসে পরে। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে শামিল হন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের আহ্বায়ক ডাক্তার মনীষা চক্রবর্তী, এবং মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন। তারা দাবি করেন, মহাসড়কে অনেক অবৈধ দখল থাকতেও অলি গলির মধ্য আর্থিক লাভবান হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিটি কর্পোরেশন এই উচ্ছেদে অভিযান চালাতে চায়। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছে, গলির মধ্যের বাকি অংশ রাস্তা নির্মাণ শেষ। শুধু এই অংশটুকু অবৈধ দখলদারদের কারণে দৈর্ঘ্যে পাঁচ ফিট এবং লম্বায় কমপক্ষে ২০০ ফিট রাস্তা নির্মাণ কাজ থমকে আছে। এতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়ে তাদের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন বিধি অনুযায়ী কাজ করুক এটা তাদের দাবি। পুনর্বাসন সেটি একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া। অন্যদিকে অবৈধ দখলদাররা বলছে, তাদেরকে পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ করলে তাদের কোন আপত্তি নেই।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস জানান, তাদেরকে একাধিকবার অবৈধ স্থাপনের সরিয়ে নিতে মৌখিক বলা হয়েছে। লিখিত দেয়া হয়নি কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যেহেতু অবৈধ স্থাপনা তাই তারা লিখিত নোটিশ দিলে সেটিকে অনেকটা বৈধতা দেয়া হয়। তিনি জানান, আপাতত উচ্ছেদ বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে অবৈধ দখলদারদের। এরমধ্যে দখলমুক্ত না করলে পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।