বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল-৫ (সদর) আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
বরিশাল নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেছেন-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল ধর্ম-বর্ণ গোত্রের সমন্বয়ে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের গোড়াপত্তন করেছিলেন।
তার প্রণীত ১৯ দফা কর্মসূচির আলোকে শক্তিশালী সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে ওঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে উদযাপন করবে। কেউ কারও ধর্মকে কটাক্ষ করবে না বা অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না।
বিএনপি ধর্মকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করে না বা ক্ষমতা পরিবর্তনে অসৎ উদ্দেশ্যে ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না।
সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করা বাংলাদেশের সাংবিধানিক অধিকার। কোন ধর্মের বা গোত্রের সেটি বিবেচ্য নয়। তবে বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে থেকেছে। ধর্মের ভিত্তিতে সমাজের বিভাজন বিএনপি বিশ্বাস করে না।
আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসব শংকামুক্তভাবে পালিত হবে উল্লেখ করে রহমাতুল্লাহ আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারী একটি মহল সবসময় ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু গুজব রটানোর চেষ্টা করে ব্যক্তিগত বা সামাজিক দ্বন্ধকে কাজে লাগিয়ে উৎসবের স্থানকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা কর্মসূচির ঘোষনা করেছেন তার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে ধর্মীয় বিভাজন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি ভানু লাল দে’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, জেলার সভাপতি মানিক মুখার্জি কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যান ফ্রন্টের মহানগর সভাপতি আলবার্ট রিপন, সাধারণ সম্পাদক লিমন সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজেস্বর বনিক, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেবনাথ, কালিগঞ্জ দূর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন বসু প্রমুখ।
একইদিন দুপুরে জেলা নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে নিজস্ব কার্যালয়ে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ মতবিনিময় করেন। ওই সভায় বরিশাল জেলা নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের আহবায়ক সুজন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সুখদেব সরকার, জয়দেব দাস মিন্টু, সৌরভ চন্দ্র রায়, আপন সরকার, জয়দেব চন্দ্র শীল প্রমুখ।