সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

আদালতের বারান্দায় নৃশংস হামলা, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আদালতের বারান্দায় নৃশংস হামলার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা। এসময় ভূক্তভোগীরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা সদরের বাসিন্দা মিরাজ মাঝি বলেন-তাদের পরিবারের সাথে প্রতিপক্ষ একই এলাকার রফিকুল মাঝি, জহিরুল ইসলাম গংদের দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষের লোকজনে একাধিকবার তাদের বসত ঘর ভাঙচুর, মালামাল লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক কর্তৃক অসহায় পরিবারের জন্য নির্মিত একটি ঘরও হামলাকারীরা ভেঙে লুটপাট করে নিয়ে যায়।

মিরাজ মাঝি আরও বলেন-প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নামে জমি লিখে দেয়ার পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ দাবি না মানায় প্রতিপক্ষের লোকজনে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের (মিরাজ) বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার একটি প্রমানের অভাবে খারিজ হয়ে গেছে। এমনকি একটি হত্যা মামলায় তাদের আসামি করে চরম হয়রানী করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ মাঝি বলেন-সবশেষ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝালকাঠি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের চতুর্থ তলায়। এসময় তিনি (মিরাজ মাঝি) ও তার পরিবারের সদস্যরা আদালতের ৪০৪ নম্বর কক্ষের সামনে উপস্থিত ছিলেন। এসময় আকস্মিকভাবে প্রতিপক্ষের রফিকুল মাঝি, জহিরুল মাঝি, মনি আক্তার ও পপি আক্তারসহ তাদের অন্যান্য সহযোগিরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

হামলায় পরিবারের সদস্যসহ তিনি (মিরাজ মাঝি) গুরুত্বরভাবে আহত হন। এসময় প্রথমে তাকে (মিরাজ) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিরাজ মাঝি বলেন-হামলার সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত লোকজন তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে পুলিশের সহায়তায় হামলাকারীদের আটক করেন।

মিরাজ মাঝি অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় প্রভাবশালী কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি (মিরাজ) চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ মাঝির অভিযোগের ভিত্তিত্বে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম মাঝির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোনধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ###

 


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ