রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ৩১ দফা- কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু

ডেস্ক রিপোর্ট

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিসয়ক সহ-সম্পাদক ও বরিশাল -২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমঅধিকার বাস্তবায়ন করা হবে। এসব দফা বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এতে কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নে মহিলা কর্মীদের সাথে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও বলেন, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। বরিশালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার প্রচারপত্র উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনিরুজ্জামান লিখন, আব্দুল হালিম, মোঃ আব্দুস ছালাম হাওলাদার,শফিকুল ইসলাম খান লিমন, জালিস সরদার,কাজী মাহবুব ধলু, তাওহীদ বীন লাবিদ, আহসান মিয়া জুয়েল,মোঃ খোকন ডাকুয়া, সুমন,তাওহীদ, রুমী, হৃদয়, রাব্বি মিজান,সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সারা দেশে প্রচারাভিযান চালাচ্ছে দলটি। মাঠপর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে এ প্রচার কর্মসূচি চলছে। এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করে প্রচারাভিযানের জন্য সারা দেশের নেতা-কর্মীদের পারদর্শী করে তোলার লক্ষ্যে কর্মশালার উদ্যোগ নেয় দলটি। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ (সমন্বিত রাষ্ট্রসত্তা) প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, সংস্কার প্রস্তাবে আইন সভায় উচ্চ কক্ষের প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন প্রভৃতি।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ