চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ক্ষুদ্ধ স্বজনরা হামলা চালিয়ে বরিশালের মুলাদী উপজেলা হাসপাতালের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মৃত রোগীর স্বজনরা বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরী বিভাগে তারা চিকিৎসক পাননি।
২০ মিনিট পর একজন চিকিৎসক এসে চিকিৎসার নামে প্রায এক ঘন্টা সময় ব্যয় করেন।
জানা গেছে, মুলাদীর সদর ইউনিয়নের তেরচর গ্রামের মফসের খন্দকার (৬০) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে মুলাদী উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়।
তার মৃত্যুর পর দুই ছেলে ইব্রাহিম খন্দকার ও হানিফ খন্দকারসহ স্বজনরা হামলা চালিয়ে হাসপাতালের আসবাবপত্র ভাঙচ্চুর করে।
ইব্রাহিম ও হানিফ ওমান প্রবাসী। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা ছুটিতে বাড়ি আসেন।
ইব্রাহিম খন্দকার জানান, তার বাবাকে নিয়ে সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাসপতালে পৌছান। তখন জরুরী বিভাগে কোন চিকিৎসক ছিলোনা।
১০ নম্বর কক্ষে চিকিৎসক আছেন বলে কর্মচারীরা তাদের জানান। তবে সে কক্ষটি ভেতর থেকে আটকানো ছিলো। অনেক্ষন ডাকাডাকির পরেও ভেতর থেকে সারা মেলেনি।
এ অবস্থায় প্রায় ২০ মিনিট তার বাবাকে হাসপাতালের বাহিরের বিশ্রামাগারে রাখা হয়।
এরপরে একজন চিকিৎসক এসে পরীক্ষা-নীরিক্ষার নামে সময় ক্ষেপন করেন। চিকিৎসক রোগীর অবস্থা জানাননি এবং বরিশাল মেডিক্যালে নেয়ার পরমর্শও দেননি।
প্রায় একঘন্টা পর ওই চিকিৎসক তার বাবাকে মৃতবলে ঘোষণা করেন। তখন ক্ষুদ্ধ হয়ে তার ছোট ভাই হানিফ খন্দকার অক্সিজেনের কিছু সামগ্রী ভাঙচুর করেছে।
এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। মৃতের স্বজনরা চিকিৎসা অবহেলার মিথ্যে অভিযোগ তুলে হাসপাতালের অক্সিজেন কনসেজেটর, পালস অক্সিজেন মিটার ও ইসিজি মেশিনসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।
তাদের হামলায় মিজান নামের এক কর্মচারী আহত হন।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
